আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের ৫ জেলায় জেঁকে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ। আস্তে আস্তে অন্যান্য অঞ্চলেও বাড়বে। শীতের কারণে সব বয়সী মানুষের মধ্যে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
সুস্থ থাকতে অনেকে মেনে চলছেন লাইফস্টাইল। এজন্য শীতকালে অনেক কিছু করা না করা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আছে। তন্মধ্যে অন্যতম শীতে কলা খাওয়া যাবে না।
সর্দি-কাশি হলে অনেকেই কলা খাওয়া বন্ধ করে দেন। তারা মনে করেন এটি ঠান্ডা লাগা আরও বাড়িয়ে দেবে, যে কারণে সর্দি বা কাশি সারাতে দীর্ঘ সময় লাগে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। কলা শরীরে পানির অভাব পূরণ করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
একটি কলায় উপস্থিত ১০০ ক্যালরি শরীরে শক্তি যোগায়। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে কলা খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিদায়ক। তবে শীতের রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। চাইলে বিকেলে কলা খেতে পারেন।
তবে যদি কোনও ব্যক্তি কাশি এবং সর্দি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হন তবে ভুল করেও কলা খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শ্লেষ্মা বা কফের সংস্পর্শে এলে জ্বালা সৃষ্টি করে।
শীতকালে আরও কিছু ভুল ধারণা
◾শীতকালে ব্যায়াম করা ক্ষতিকর হতে পারে, এমনটা ভাবা একেবারেই ভুল। শুধু মনে রাখবেন, বাইরে যাওয়ার আগে, ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সব ব্যবস্থা নিন।
◾শীতে অ্যালকোহল পান করলে শরীর গরম থাকে। আসলে এটি শরীরকে কিছুক্ষণের জন্য উষ্ণ রাখবে। তাই বলে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। শরীরকে গরম রাখতে অ্যালকোহল পান করার কোনও প্রয়োজন নেই।
◾শীতকালে দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এটাও ঠিক নয়। এই মৌসুমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে সর্দি হয়। ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া থেকে নয়।
◾শীতে অ্যালার্জি কম হয়। এটিও ভুল। ঘরের জানালা বন্ধ থাকে এবং তাজা বাতাস প্রবেশ করতে পারে না বলেই যে এই ঋতুতে সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি হয় তা নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।